আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ ও ভাল আছেন। পোস্ট টাইটেল দেখেই হয়ত বুঝে গেছেন যে এখানে কিসের সম্পর্কে লেখা হয়েছে। বাংলালিংকের ফ্রী মোডেম অফারটা নেওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই হয়ত আছে। কিন্তু চিন্তার ব্যাপার ২৭৫০/- টাকা দিয়ে কেনা মোডেমটা যদি বাংলালিংকের সংযোগ ছাড়া ব্যাবহার করতে না পারি তাহলে কি হবে? অন্যান্য মোডেমের মত এটাকেও আনলক করে নিলেই হয়! তাই নয় কি? তাহলে প্রথমেই ডাউনলোড করে নিন এই ২.৮৯ মেগা বাইটের সফ্টওয়্যারটি।
এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন।
ডাউনলোড করা শেষ এবার আসুন দেখি কিভাবে একে কাজে লাগাবঃ
০১. প্রথমে রার ফাইলটিকে এক্সট্রাক্ট করে নিন।
০২. এবার dccrap.exe ফাইলটি রান করুন।
০৩. আপনার মডেমের মেনুফ্যাকচারার নির্বাচন করুন।
০৪. স্ক্যান আইকনে ক্লিক করুন।
০৫. আপনার মডেমের লক/আনলক স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
০৬. Unlocking এ ক্লিক করুন।
০৭. এই জাতীয় একটি কনফার্মেশন মেসেজ দেখতে পারবেন।
ব্যাস্ আপনার মডেম আনলক্ড। এখন ইচ্ছা মত অপারেটরে ব্যবহার করুন। এই ছবিতে দেখুনঃ
অন্যান্য নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য ডায়াল আপ কানেকশন তৈরি করে ব্যাবহার করুন। সকল বাংলাদেশী জিএসএম অপারেটরের ডায়ালিং নাম্বার *99# ; এক্সেস পয়েন্টঃ (APN) গ্রামীণফোন=gpinternet, বাংলালিংক=blweb, এয়ারটেল=internet, রবি=internet, টেলিটক=gprsunl
জানিনা আপনাদের কার কেমন লাগবে? তবে আপনাদের কাছে গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি সেই সাথে আরো একটি ব্যাপারে বলতে চাইঃ আপনার এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক EDGE কিনা তা যাচাই করে নিবেন। আমার জানা মতে সম্পুর্ন ঢাকাও EDGE এর আওতাধীন নয়। যাচাই করার জন্য যা করতে পারেন তা হল এক. বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারে ফোন করতে পারেন। দুই. EDGE সাপোর্ট করে এমন মোবাইল ফোন দিয়ে চেক করতে পারেন। (উদাহরন স্বরুপঃ NOKIA 2700 classic) আমি আমার এলাকায় নেটওয়ার্ক চেক করে ও বাংলালিংকের ১গিবা ব্যাবহার করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি যখোন EDGE এর আওতায় থাকে তখোন 236Kbps (29.5KBps) পর্যন্ত ওঠে। গতি শুধু নেটওয়ার্ক নয় ওয়েব সাইটের সার্ভারের উপরও নির্ভর করে। তবে আপনি গড়ে ২৫কিলোবাইট প্রতিসেকেন্ড ডাউনলোড পাবেন আশা করছি (যদি EDGE নেটয়ার্কের ভিতরে থাকেন।) সবাই সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন, এই কামনায় আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।
সবাই কেমন আছেন ?
আজ আপনাদের সাথে যে জিনিটা শেয়ার করতে যাচ্ছি তা হয়ত অনেকে জানেন , যারা জানেন না তারা জেনে নিন। আমি তেমন জ্ঞানি লোক না তাই আমার ভুল হতে পারে দয়া করে আমার ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্যে আনুরোধ জানাচ্ছি।
এবার মূল কথায় আশা যাক। আমরা সবাই নিজের কম্পিউটার থেকে বা ওয়েব সাইট থেকে ইমেজ স্ক্রীনশট নিতে পারি কিন্তু মজার বিষয় হল এখন আপনি ইচ্ছা করলে আপনার কম্পিউটার থেকে যে কোন কিছুর ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে আপনার বন্দুদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এই ভিডিও ফুটেজ তৈরি করতে কোন ভিডিও ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম লাগবে না। আর সেই জন্য আপনাকে মাত্র ৭২৩ কিলোবাইট এর একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিলে হবে। এই সফটওয়্যার দিয়ে আপনি ভিডিও ফুটেজ তৈরি করা ছাড়াও ওয়েবক্যাম থেকে ভিডিও রেকোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড লিংক
আমাদের সাথে ফেসবুক এ যোগ দিন: DjuiceLife.com
পেনড্রাইভ বা মেমোরিকার্ড দিয়ে আমরা সাধারণত আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডাটা আদান-প্রদান করে থাকি। আর এটি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি! কখন যে আমাদের সাধের পেনড্রাইভে ভাইরাস ঢুকে যায়, আমরা বুঝতেই পারি না।
এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা সাধারণত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি। এর পাশাপাশি অটোরান ভাইরাস দূর করার জন্য USB Disk Security, Autorun Remover ইত্যাদি বিভিন্ন বাহারি সফটওয়্যারও অনেকেই ব্যবহার করে থাকে। অনেকক্ষেত্রেই এত সফটওয়্যার ব্যবহার করা সময়সাধ্য এবং বিরক্তিকর ব্যপার!!
যদি মাত্র ১ টি ক্লিক করেই আজীবণের জন্য এতসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যেত, তাহলে কেমন হত???? শুনতেই খুব ভাল লাগছে তাইনা?? তাহলে ভাবুন বাস্তবে এমনটি হলে কতই না সুবিধা হত!!
তাহলে আসুন মূল টিউনে যাইঃ-
পান্ডা এন্টিভাইরাসের নাম হয়ত অনেকেই শুনে থাকবেন। তারা একটি সফটওয়্যার বানিয়েছে এবং সেটির নাম দিয়েছে- Panda USB Vaccine. এটি সেটাপ করার পর একটি ক্লিক করলেই পেনড্রাইভ অথবা মেমোরিকার্ড Vaccinate হয়ে যাবে অর্থাৎ আপনার ফ্লাশড্রাইভে টিকা দেয়া হয়ে যাবে!! যাতে করে অটোরান ভাইরাসকে আপনি আর জোড় করেও ঢুকাতে পারবেন না।!!
আসলে এটি আপনার ফ্লাশড্রাইভে একটি Autorun.inf ফাইল তৈরী করবে। যা কোন অটোরান ভাইরাস ডিলেট করে আপনার পেনড্রাইভে ঢুকতে পারবে না। এমনকি রিপ্লেস বা রিনেম করাও সম্ভব নয়!! ফাইলটি আপনার ফ্লাশড্রাইভে হিডেন অবস্থায় থাকবে এবং আপনার পেনড্রাইভের "অটোরানের টিকা" হিসাবে কাজ করবে!! এছাড়া এটি দিয়ে মাত্র ১ ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারের সকল ফ্লাশডাইভের অটোরান করা বন্ধ করতে পারবেন!! যার ফলে কোন ফ্লাশড্রাইভ ঢুকানোর সাথে সাথে আর ভাইরাস আপনার পিসিতে ঢুকতে পারবে না!!
এটি একটি ফ্রি সফটওয়্যার, তাই ক্রাক/সিরিয়ালের ঝামেলা নাই। টিকা দেয়ার পর সফটওয়্যারটি রিমুভ করে দিতে পারেন।
সবচাইতে বড় কথা এত কাজের একটি সফটওয়্যার এর সাইজ মাত্র ৮০০ কিলোবাইট!!
তাহলে আর দেরি না করে নিচের মত করে ব্যবহার করা শুরু করে দিনঃ-
১. প্রথমেই এখান থেকে Panda USB Vaccine ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করে নিন। (৮০০ কিলোবাইট)
২. এবার সাধারণ নিয়মে সবকিছু ডিফল্টে রেখে সেটাপ করুন।
৩. আপনার পেনড্রাইভ/ মেমোরিকার্ড ইউএসবি পোর্টে প্রবেশ করান এবং সফটওয়্যারটি চালু করুন ।
৪. এবার নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন। সেখানে Select an USB Drive এ আপনার ফ্লাশড্রাইভটি দেখতে পাবেন। তার পাশেই দেখুন- Vaccinate USB নামে একটি বাটন আছে, সেটিতে ক্লিক করুন।
৫. ব্যাস কাজ শেয!! আপনার পেনড্রাইভকে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। এবার নিচের ছবির মত দেখুন আপনার ফ্লাশড্রাইভের পাশে ব্রাকেটে Vaccinated লেখা আছে। যার মানে কাজ শেয!!
৬. এবার আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের সকল ড্রাইভের অটরান ডিসেবল করে দিতে চান, তাহলে নিচের ছবির মত Vaccinate Computer বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই কাজ হয়ে যাবে।
৭. কম্পিউটার Vaccinated হয়ে গেলে নিচের ছবির মত দেখাবে। এবার ইচ্ছা করলে সফটওয়্যারটি রিমুভ করে দিতে পারেন।
এবার টেস্ট করার জন্য নিজে নিজে একটি অটোরান ফাইল বানিয়ে আপনার পেনড্রাইভে সেন্ড করে দেখুনতো সেটি পেনড্রাইভে ঢুকাতে পারেন কিন?? ঢুকাতে পারলে জানাবেন কিন্তু!!
যারা অটোরান বানাতে পারেন না, তারা এখান থেকে আমার বানানোটা ডাউনলোড করে নিন (মাত্র ১KB)।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভাল থাকুন।