sumon info
 
  ABOUT ME
  Product Order
  Info
  TUTARIAL
  Softwear
  Page-1
  PAGE -3
  Page -4
  Page-5
  Haking
  Photogariphi
  Games
  Mobile
  ANDROID
  Most Needed
  madidation
  FREELANCING
  ENTERTEINMENT
  Chain Tune
  Home
Info

নিজে তৈরি করুন মজার মজার সব “ওরিগামি”


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম । সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, সম্মান, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।

প্রশ্ন :পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ ভাষা কি?

উত্তর : হাসি।

কাউকে যদি আফ্রিকার জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হয়। আর যদি ভাগ্যগুনে জংলীদের সাথে দেখা হয়ে যায়। একটা হাসি দিলে জংলীরা অন্তত বুঝতে পারবে লোকটা হাসছে।

মূল প্রসংগে আসি। আমি আসলে বুঝাতে চাচ্ছি ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পুরোটা বাংলায় দিতে পারি নি। শুধুমাত্র সময়ের অভাবে। এর পরে অরিগামির পর্ব চলবে ১০০% বাংলায় এবং আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে। সেই পর্যন্ত এই টিউনটি নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করুন। আমার টিউন তখনই স্বার্থক হবে যখন অন্তত একজন হলেও নিজের চেষ্টায় সফল ওরিগামি তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

নির্দেশনা অনূযায়ী শুরু করুন। কাগজ হাতের কাছে রাখুন।

১.

২.

৩.

৪.

৫.

৬.

৭.

৮.

৯.

১০.

১১.

১২.

১৩.

১৪.

১৫.

১৬.

১৭.

১৮.

১৯.

২০.

২১.

২২.

২৩.

কোনোখানে খটকা লাগলে কিংবা কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে জানাবেন।

কষ্ট করে আমার এই টিউনটি দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত ও পরিতৃপ্ত। আপনাদের ব্যাপক সাড়া আমার নিত্যদিনের প্রেরণা।


++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। আশা করছি ভালো আছেন সবাই। আজ আমি bKash account নিয়ে আলোচনা করবো। বিকাশ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি উদ্যোগ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকে পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও) হিসেবে নিবন্ধিত। দেশজুড়ে এর রয়েছে ১০,০০০ এরও বেশি প্রতিনিধি, যারা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদান করে।কিভাবে নিবন্ধন করতে হবে নিবন্ধন এটি সহজ প্রক্রিয়া। এবার আপনি ও নিবন্ধীকৃত হয়।আপনি সমস্ত bKash পরিষেবা ব্যবহার করতে পাবেন। মুহূর্তে নিবন্ধন করতে পারবে Robi ,বাংলালিংক এবং গ্রামীণফোন গ্রাহকরা।অন্যান্য অপারেটর থেকে গ্রাহক bKash ব্যবহার করতে পারবেন না। bKash সহজ ২টি পদ্ধিতিতে আপনি একটি গ্রাহক হিসেবে নিবন্ধন করার উপায় উপলব্ধ করতে পারবেন।কেবলমাত্র একটি ফরম পুরন করলে এজেন্ট আপনার দোরগোড়ায় আপনার নিবন্ধীকরণ গ্রহণের জন্য আসবে।

অথবা, আপনি নিচের কাজগুলো করতে পারেন -
01. আপনার কাছাকাছি bKash প্রতিনিধি কাছে যান। সাথে আপনার সক্রিয় Robi বা গ্রামীণফোন নাম্বার সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে যান।

খ. আপনার ফটো আইডি একটি অনুলিপি (জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / অন্যান্য বৈধ ফটো আইডি নিয়ে যেতে হবে।গ. পাসপোর্ট সাইজ 2 কপি ছবি লাগবে।

02. নিবন্ধীকরণের পরে, আপনি আপনার wallet সক্রিয় করা প্রয়োজন
নিচে দেখুন -


bKash এজেন্ট প্রক্রিয়া চলাকালে আপনি নিবন্ধীকরণ সম্পূর্ণ করার জন্য সাহায্য করবে। আপনি আপনার ফোনে একটি SMS বিজ্ঞপ্তি নিবন্ধন প্রতিপাদক পাবেন।

এখন দেখুন কিভাবে আপনি আপনার wallet bkash একাউন্ট এ টাকা জমা করবেন। আপনার wallet টাকা জমা দেওয়ার জন্য, নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন: -
01. কোনো bKash এজেন্ট এ যান 02. তাকে জানান কত টাকা জমা করতে চান

03. আপনার wallet number এবং টাকার পরিমাণ এজেন্ট register লিখে রাখুন

04. অর্থের পরিমাণ জমা দিন এজেন্ট  এর কাছে।

05.  এজেন্ট  টাকা পাটিয়ে দেবে আপনার wallet number এ
06. আপনি এবং প্রতিনিধি উভয় নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন. কাউন্টার ছাড়ার আগে থেকে প্রতিনিধি রেজিস্টার আপনার স্বাক্ষর করে নিন মনে রেখবেন।

যদি আপনার bKash wallet টাকা থাকে আপনি যেকোন প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় নগদ টাকা তুলতে পারবেন আপনার wallet থেকে

নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন: -
01. কোনো bKash এজেন্ট যান

02. টাকার পরিমাণ আপনি উঠাতে চান জানা

03. আপনার  wallet number ও টাার পরিমাণ নিবন্ধন লিখে রাখুন

04. * 247#ডায়াল করুন bKash মেনু জন্য আপনার মোবাইল ফোনে

05. নির্বাচন করুন “আউট ক্যাশ” 06. From Agent নির্বাচন করুন

07. wallet numberলিখুন 08. পরিমাণ লিখুন

09. আপনার wallet পিন লিখুন

10. সম্পন্ন হলে আপনি এবং Update Agent-এ উভয় নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন। কাউন্টার পেলে  পরিমাণ গণনা এবং Update Agent-এ নিবন্ধন করুন আপনার স্বাক্ষর করুন।

আপনি আপনার wallet ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।

নিচে দেখুন -

যে কোনো সময় আপনি আপনারwallte পিন পরিবর্তন করতে পারবেন।
নিচে দেখুন -

টাকা পাঠাতে পারেন অন্যান্যর wallet numberএ নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন -

এবার দেখুন ফি/চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত   Service Charges/Other Service Charges/Transaction Limits

ভালো থাকবেন।সবাইকে আনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য…

পূর্বে প্রকাশিত এখানে


=============================================
আমরা অনেকেই হইত জানি জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে প্লানেটোরিয়াম জাতীয় সফটওয়্যার। আজ এরকম একটি প্লানেটোরিয়াম সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করবো। এটি আপনার কম্পিউটারে একটি ভার্চুয়াল ত্রিমাত্রিক প্লানেটোরিয়াম তৈরী করবে। আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই থাকেননা কেন এটি যে কোন সময়ে আপনার অবস্থানে আকাশের গ্রহ, নক্ষত্র, নক্ষত্রমন্ডলীর অবস্থান সম্পর্কে জানান দেবে। আপনাকে শুধু আপনার কো-অর্ডিনেট আর সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। হাতে টেলিস্কোপ নেই কিন্তু মনে হচ্ছে, ইস! মঙ্গলকে যদি আরো কাছে দেখা যেত! মাউসের হূইল স্ক্রোল করে শুধু মঙ্গলের পৃষ্ঠই নয় আপনি এমনকি ফেবোস ও ডিমোসকে(মঙ্গলের দুই উপগ্রহ)-ও দেখতে পারবেন। অনেক আনন্দদায়ক তাই না!
আমি আজ যে সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলছি সেটির নাম STELLARIUM, এটি একটি মুক্ত উৎস বা Open Source  সফটওয়্যার। যা থ্রিডিতে বাস্তব আকাশ দেখাবে, ঠিক যেমনটি আপনি দেখেন খোলা চোখে, দূরবিণ বা টেলিস্কোপে। এটি প্লানেটোরিয়াম প্রজেক্টরেও ব্যবহৃত হয়। এখানে আপনার অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ সেট করুন এবং দেখতে থাকুন।
আপনি আপনার দৃশ্যপট আরোও বাস্তব সম্পন্ন করতে পারবেন কিছু Atmospheric Effect যোগ করে। মাউসটা কোন তারার উপর রাখলে এটি ঐ তারা সম্পর্কিত তথ্যাদি, যেমন এর নাম, দূরত্ব, অবস্থান প্রভৃতি সম্পর্কে জানান দেবে। প্রোগ্রামটি রিয়েল টাইমে সিমুলেট করা। তাই খেয়াল করবেন আপনার অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে তারাগুলিও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। নক্ষত্রমন্ডলীর কাল্পনিক সংযোগ রেখা, রাশিমন্ডলগুলির কাল্পনিক ছবি, Atmosphere, অ্যাজিম্যাথ এবং ইকুয়েটোরিয়াল গ্রিড, ভূ-পৃষ্ঠের দিগন্ত রেখা এবং নাইটমোড চালু বা বন্ধ করে আকাশ দেখাকে উপভোগ করতে পারেন।
সুবিধা সমূহঃ এটি শুধু বহুভাষীকই নয়, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির দেয়া ভিন্ন ভিন্ন তারার নামও এখানে দেখতে পাবেন। মূলত সফটওয়্যারটি খুবই শিক্ষামূলক।
সফটওয়্যার পাওয়ার ঠিকানাঃ www.stellarium.org (ওয়েব পেজটির ডানে লিখা থাকা Operating System গুলোর মধ্যে আপনার Operating System এর নামের উপর ক্লিক করলেই Download শুরু হবে।)
=========================================
বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের সাইট সবাই কেমন আছেন। আমি তেমন ভালো নাই। আনেক দিন পর টিউন করছি। আজ আমি আপনাদেরকে আমাদের বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ করার কিছু সাইতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। আনেকেই এ ব্যাপারে জানেন মনে হয়। যারা এই সম্পর্কে জানেন না, আমি তাদের জন্যই এই টিউনটি করা। আসলে এই সাইট গুলি ফেইসবুক এবং টুইটর কে আনুসরন করে করা হয়েছে। যদিও এই সাইট গুলি ফেইসবুক এবং টুইটরের সেবা প্রদান করতে পারেনা। তারপর মন্দ কি আমাদের দেশি সাইটতো। এই সাইট গুলকে জনপ্রিয় করে তুলার কাজ এক মাত্র আমাদেরই। আর বিস্তারিত লেখার প্রয়োজন মনে করছি না। আমি নিচে লিংক গুলি শেয়ার করছি আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাতে সাইন আপ করে নিবেন। আমার কাছে ফেইসবই ভালো লেগেছে। আর একটি অনুরোধ যে কোন একটি সাইটে আপনি সাইন আপ করে ফেইসবুকের মত ব্যবহার করবেন আশা করি। ১) http://www.howkow.com ২) http://www.mylemex.com ৩) http://www.prithbi.com ৪) http://www.bdspot.com ৫) http://www.faceboi.com
***********************************************

আমার মতে কম Speed a Live TV এই সাইটের মতো কথাও নেই

যাই হোক এবার কাজের কথায় আসি আমি আপনাদের একটি সাইটের লিন্ক দিব ।

যার মাধ্যমে আপনি অল্প speed এ মটামোটি ভাল মানের লাইভ tv দেকতে পারবেন । এখানে বেশ কয়েকটি tv চ্যানেল আছে যেমন: Star Plus,Star One, Zee tv, Sahara filmy,Star Gold,UTV Movies, অরও অনেক ।

তাহলে চলে যওয়া যাক

লিন্কে http://www.livetvchannelsfree.in/ এখানে যেয়ে যে কোন একটা tv te click করুন speed মটামোটি 22থেকে 23 কেবি . পি.এস হলেই যথেষ্ঠ

আমার এখান কার প্রীয় চ্যানেল star plus আর আমার এ টিউন যদি ভাল লাগে তাহলে comment দিতে ভুলবেন না ।

আমি এমনি তে বাংলা ভাল লিখতে পারিনা অনেক কষ্ট করে লিখছি ।  আশা করি আমার এ টিউন টা সবার ভাল লাগবে ।কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন ।

*********************************************

নিজ কন্ঠে গান গাইবেন আর সাথে থাকবে আপনার প্রিয় গানের মিউজিক!!! এবার আপনিই হয়ে যান শিল্পী

সবাইকে আন্তরিক সালাম জানিয়ে আমার টিউন শুরু করছি।আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আনমনে বা গোপনে অথবা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কিংবা নির্দিষ্ট এক বদ্ধ ঘরে ;) :p গান করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর। সবারই হয়তো ইচ্ছে করে শিল্পীর মতো গাইতে। কন্ঠের গাম্ভির্যতায় বা রুক্ষতায় হয়তো সেটা হয়ে উঠে না। তবে আপনি যদি সত্যিই শখের বসে শিল্পীদের মতো মিউজিকের তালে তালে গান করতে চান তাহলে হয়তো এই টিউন দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতো সাহায্য করবে। :) তাহলে শুরু করা যাক।

সরল পদ্ধতিঃ

প্রথমে এখান থেকে YoGen.Vocal.Remover.v3.3.10 সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিন। এটার কাজ হলো গান থেকে ভোকাল রিমুভ করে দেয়া। তবে কোয়ালিটি খুব একটা ভাল নয়। :(

এখন KaraFun Player ডাউনলোড করুন এখান থেকে।

তারপর ঐ ভোকাল রিমুভ করা ফাইল এই প্লেয়ার দিয়ে ওপেন করে মাইক আর রেকর্ড সিলেক্ট করে আপনার গান গাওয়া শুরু করুন। :D

আরও বিস্তারিত জানুন এখানে।

বিঃদ্রঃ এভাবে খুব বেশি ভাল কোয়ালিটি পাওয়া যাবে না।

ভাল কোয়ালিটির পদ্ধতিঃ

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মোটামুটি ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে বাংলা গানের মিউজিক খুব বেশি সম্ভব না। আর ইংরেজি সব গানের মিউজিক বলা যায় সম্ভব।

প্রথমে এখান থেকে vanBasco's Karaoke Player ডাউনলোড করে নিন।(উইন্ডোজ ৭ সহ কাজ করে।)

তারপর আপনার পছন্দের গানটির midi ভার্সন নামিয়ে নিন এখান থেকে।

কিছু বাংলা গানের midi ভার্সন পাবেন এখানে।

গানটি এবার এই প্লেয়ার দিয়ে ওপেন করুন। খেয়াল করে দেখবেন মিউজিকের সাথে লাল দাগগুলো উঠা নামা করছে। গানের কথার সময় যে লাল দাগ উঠা নামা করছে তার বাম পাশের লাল আইকনে ক্লিক করে মিউট করে দিন। ব্যস এবার মাইক্রোফোনের মাধ্যমে মিউজিকের সাথে সাথে আপনি গেয়ে যান। আর হ্যা গানগুলোর লিরিকও কিন্তু সাথে শো করবে। :D

আর এবার যদি রেকর্ড করতে চান তাহলে আলদা কোন রেকর্ডার দরকার হবে। রেকর্ডারের জন্য দেখতে পারেন এই পোস্ট।

তাহলে এবার মেতে উঠুন মিউজিকের সুরে :D :D

আশা করি সবার ভাল লেগেছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।



******************************************** একটি লাশের আত্মকথা (১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স, বৃদ্ধ, দুর্বল মনের অধিকারী এবং যাদের হার্টের প্রবলেম আছে তারা প্লিজ পড়বেন না) জীবনটা ভালোই কেটে যাচ্ছে। ২৭ বছরের জীবনে যে এত্ত কিছু একসাথে পেয়ে যাব তা আমি বা তন্বী কেউ ভাবিনি। ভাবছেন তন্বী কে? আমার বউ, আমার জীবন সাথী। পড়ালেখা যদিও খুব বেশি একটা করতে পারিনি। কারিগরী বোর্ডের আন্ডারে কম্পিউটারে ডিপ্লোমা করেছি। তাই কত....! ছোট্ট একটা পরীর মত মেয়ে হয়েছে আমাদের। নামটাও রেখেছি সেই রকম, “লিয়ানা ফাতিহা”। এই তো সেদিন জুনের ৬ তারিখে ছোট্ট একটা বাবু আল্লাহ্ আমাদের কে দুপুর ৩টার দিকে দিয়ে গেল। এখন সারাদিন ওকে দেখেই পার হয়ে যায় আমাদের দুজনের। প্রেমের বিয়ে আমাদের। অনেক বাধা-বিপত্তি পার করে আজ আমরা এক সাথে আছি। তাই এখনো দুজন দুজনাকে ছাড়া কিছু বুঝিনা। আমার বউ তো আমাকে প্রায়ই বলে, “আমাকে একা রেখে মরে গেলে কিন্তু খবর আছে!” শুনে হাসি...তা ছাড়া আর কি করব বলেন? মৃত্যু তো আর আমার হাতে নাই। ছোট খাটো একটা ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি আমি। টুক-টাক দিন চলে যায় আরকি। আমার বা তন্বীর কারোই সেরকম কোন উচ্চাশা নাই। আমরা যে একসাথে আছি এই আনন্দই ৫বছর ধরে শেষ করতে পারিনি! ২২বছর বয়সে বিয়ে করে কি বিপদেই না পড়েছিলাম! থানা-পুলিশ, পালানো, নির্ঘুম রাত কাটানো....বিশাল উত্তেজনাকর ঘটনা! সে কথা না হয় আর একদিন বলব। বর্তমানে স্ত্রী কন্যা নিয়ে ছোট্ট একটা দুই রুমের বাসায় বাংলাদেশে যতটুকু শান্তিতে থাকা যায় আছি আর কি। ধুর...যে কথা লিখতে বসলাম তা বাদ দিয়ে কি সব জীবন বৃত্তান্ত বলছি আপনাদের! কিছু মনে করবেন। আমি একটু বাচাল প্রকৃতির (আমার বউ এর মতে)! আমার মেয়েটা খুব লক্ষী। ভাবছেন নিজের সন্তান বলে বলছি? না...না...আপনিও এসে দেখে যেতে পারেন। আজ তার বয়স ৩ মাস পূর্ণ হলো। আর এই ৩ মাসে সে কখনোই উচ্চস্বরে কান্না-কাটি, জেদ করেনি। শুধু প্রবলেম একটাই...আমার মত আমার মেয়েও ঘুমাতে চায় না! আমার বউ তো বলে যে পুরোই নাকি আমার মত হয়েছে...হাঃ হাঃ হাঃ! বউ আমার খুব লক্ষী....কখনই আমার কাছে কিছু চায় না! মাঝে মাঝে ভাবি মানুষ এইরকমও হয়! কিন্তু আসলেই এইরকম না হলে আমার মত ছোট-খাটো ব্যবসায়ী মানুষের কাছে মুষ্কিল হয়ে যেত! দেখেছেন....আবার গল্প ফেঁদে বসেছি! আপনারা মনে হয় অনেকেই লেখা শেষ না করেই চলে গেছেন, তাই না....গেলে যান...অনেকদিন পর ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে দুটো কথা বলার সুযোগ পেয়েছি...হেলায় হারাবো কেন? সকালে প্রতিদিনের মতই বউ এর ডাকে বিরক্তি নিয়ে ঘুম ভাঙলো! ঘুম আমার খুব প্রিয়। উঠতে চাইছিলাম না...কিন্তু যখন বলল যে বাবুর দুধ শেষ হয়ে গেছে দুধ কিনতে হবে, তখন আর শুয়ে থাকতে পারলাম না। উঠে হাত-মুখ ধুয়ে শার্টটা গায়ে জড়িয়েই বেরিয়ে পড়লাম সাহেব বাজারের “বিস্কুট বিপণীর” উদ্দেশ্যে। মেয়ের আমার কপাল মন্দ! মায়ের দুধ পেটে সহ্য হয় না। ডাক্তার বলেছে ল্যাকট্রোজ না কি যেন নাম, ঐ টা বেশি। তাই কৌটার দুধ খাওয়াতে হচ্ছে। আর এদিকে এক প্যাকেট দুধ ৪দিনও যায়না ঠিকমতো! বলেন তো, আমি স্বল্প আয়ের মানুষ। আমার পক্ষে কি আর ৪০০/৫০০টাকা খরচ করে ৪দিন পর পর গুড়ো দুধ কেনা সম্ভব? তাই বলে আবার আমারে মেয়েটাকে কেউ ধমক দিয়ে বসবেন না যেন! আমার তো একটাই লক্ষী মেয়ে। করলাম না হয় একটু কষ্ট! বাসা থেকে না খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম। একটা রিকশাও পেয়ে গেলাম...রিকশাওয়ালার সাথে ভাড়া মিটিয়ে উঠে পড়লাম। দোকানে যেয়ে দেখি ৩৪৫টাকার দুধ ৩৯৫টাকা হয়ে গেছে! কেমন লাগে বলেন? আসলে আমরা যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের এই দেশে বসবাস করা খুব কঠিন! দুধের প্যাকেট টা নিয়ে দ্রুত বাসায় যেতে হবে। বাবু আমার এতক্ষণে হয়তো ক্ষুধায় অস্থির হয়ে গেছে! সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টের এই চার মাথার মোড় টা সবসময় ব্যস্ত থাকে। তার উপর আবার যমের মত পুরো রাজশাহী ধরে ঘুরে বেড়ায় রাজশাহী ভার্সিটির বাস গুলো। আর ট্রাফিক আইন মানা তো দূরের কথা ভাংতেই যেন সবাই ব্যস্ত। যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পারবেন। এখন তো সকাল...শহরে সবে ব্যস্ততার শুরু। রাস্তাটা পার হয়েই আবার রিকশা নিতে হবে....তারপর সোজা বাসা। ডানে-বামে তাকিয়ে রওনা হয়ে গেলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে চমকে উঠলাম! চারদিক অন্ধকার হয়ে উঠল! লোকজন চিৎকার দিয়ে বলে উঠল, “আহ্হারে! মারা যাচ্ছে! মারা গেল!” আমি তো অবাক....! কে মারা গেল! এই মাত্রই তো সব দেখতে পাচ্ছিলাম! বাবার হাত ধরে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, কেউ ব্যস্ত ভাবে কাঁচা বাজারের ব্যাগ নিয়ে দৌড়াচ্ছে, কেউবা আবার অফিসমুখী....কিন্তু চোখের সামনে থেকে অন্ধকারটা সরছে না কেন? কি হলো? কে মারা যাচ্ছে? আজব তো! হ্যাঁ...এই তো এবার দেখতে পাচ্ছি! কিন্তু ঝাপসা! শরীরটা একবারে হালকা লাগছে। উঠে দাঁড়ালাম আমি। মনে হচ্ছে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছি! সব লোকজন দেখি এদিকে ভিড় করে আসছে। সবাই রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ খেয়াল করলাম হাতে দুধের প্যাকেট নাই! আমার দুধের প্যাকেট কই? দুধের প্যাকেট? এই যে ভাই...আমার বাবুর দুধের প্যাকেট টা দেখেছেন? ‘বায়োমিল-স’....এই মাত্র ৩৯৫ টাকা দিয়ে কিনেছি! ছোট্ট মেয়েটা আমার না খেয়ে বসে আছে! আমি দুধ নিয়ে গেলে তারপর খাবে! প্লিজ....কেউ দেখেছেন কি? আমার কাছে তো আর টাকাও নাই! ৫০০টাকার একটায় নোট ছিলো! এখন কি হবে! মাহফুজের কাছ থেকে আবার ধার নিবো? নাহ্.... তাহলে? আরে..ঐ তো বায়োমিল-সয়ের প্যাকেট টা পড়ে আছে....যাক বাবা...এত্ত ভিড়ের মধ্যেও প্ওয়া গেল! কিন্তু একি!!! প্যাকেটটা রক্তে সয়লাব হয়ে গেছে তো! আর পাশে ঐ রক্তাক্ত শরীরটা কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে!! শার্টটা তো আমারই!স্যান্ডেল ও আমার মত, যদিও আরেক পার্ট দেখতে পাচ্ছি না। ধুর...চোখের মাথা খেয়েছি মনে হয়! এটা তো আমারই শরীর! কেমন নিস্থর-রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে। মাথার উপর দিয়ে বাসের চাকাটা চলে গেছে! হলুদ হলুদ ঘিলু গুলো চারদিকে ছড়িয়ে গেছে! তাই চেহারাটা চিনতে পারছিলাম না। ও....তাহলে আমিই মারা গেছি! অদ্ভুত ব্যাপার! এতক্ষণ টেরই পায়নি! আসলে আগে কখনো মরে দেখিনি তো, তাই অনুভুতিটা জানা ছিলো না। এই ভার্সিটির বাসগুলো আসলেই যে কি!! এত লোকের ভেতর আমাকেই মারতে হবে? আর মারবি তো ভালো কথা আরেকদিন মারিস....আজ না বাবুর দুধ কিনতে এসেছি? এটা কি ঠিক হলো? এখন নিষ্পাপ বাচ্চাটা কি খাবে?? অবশ্য মরে গিয়ে খুব একটা খারাপ লাগছে না। শরীরটা পাখির পালকের মত হালকা হয়ে গেছে। কেমন যেন কুয়াশার ভেতর আছি আমি। সবাইকে দেখতে পাচ্ছি....আরে..আমি এগুলা কি ভাবছি? আমার তো বাসায় যেতে হবে।সর্বনাশ....অনেকক্ষণ হয়ে গেছে....এইসব অ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে পড়ে থাকলে হবে? লিয়ানা আমার না খেতে পেয়ে হয়তো কাঁদছে। ওর মা তো মনে হয় বাসাতেই ঢুকতে দিবে না! কি যে আছে কপালে! যায় রওনা দিই....আজ হাঁটতে হাঁটতেই যেতে হবে মনে হচ্ছে! যে ভিড় বাজারে! লোকজন হুমড়ি খেয়ে আমার লাশটাকে দেখছে....কয়েকজন তো আবার ভাংচুর ও শুরু করে দিয়েছে। নাহ্...এখানে আর থাকা যাবে না। তন্বী শুনলে বকা দিবে। আর আমি তো এখন সন্তানের বাবা...এসবের ভেতর থাকতে নাই। হাঁটা ধরলাম বাড়ির দিকে....মজার ব্যাপার হলো কেউ আমাকে দেখতেই পাচ্ছে না! কিন্তু রাস্তার কুকুরগুলো কেমন করে যেন কুঁকড়িয়ে তাকিয়ে আছে। থাকুক...আমার থামলে চলবে না। বাসার সামনেটা সেইরকমই আছে। লোকজন সব ব্যস্ত। এদিকে কেউ কিছু জানে না। বাসায় ঢুকতেই ভয় লাগছে। এই থেঁতলানো চেহারা দেখে তন্বী আর বাবু তো ভয় পেয়ে যাবে! তারপরও ঢুকে পড়লাম। আজ আর কলিং বেল টিপতে হল না। বউ আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে আছে। মেয়েটা মাঝে মাঝেই ক্ষুধায় কেঁদে উঠছে! আহারে! তন্বীর উদাস চেহারা আর মেয়ের কান্না শুনে আরেকবার মরে যেতে ইচ্ছা হল! ওরা এখনও খবর পায়নি মনে হয়। আমি মেয়েটার কাছে গেলাম, “এই যে মা! বাবা চলে আসছে। কিন্তু আজতো একটু কষ্ট করতে হবে। তোমার দুধের প্যাকেটটা রক্তে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আরেক প্যাকেট কেনার মত টাকাও নেই আমার কাছে! সমস্যা নাই আজ আমরা সবাই না খেয়েই থাকবো, কেমন?” তন্বীকে কেমন যেন চিন্তিত দেখাচ্ছে! ও কি টের পেয়ে গেছে নাকি! না মনে হয়। টিং টং...টিং টং....এই সময় আবার কে আসলো! আচ্ছা, অর্ক....কি হলো আবার! ছেলেটাকে ভদ্রতা শেখাতেই পারলাম না! কতবার বলেছি কলিংবেল একবার টিপে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। ও আসলে তো আমাকে ফোন দিয়ে আসে। ছেলেটা এভাবে হাঁপাচ্ছে কেন? ভাবি ভাবি বলে চিৎকার করছে কেন? দাঁড়া...আজ তোর খবর আছে! শালা অর্ক! তন্বী দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ল। “ভাবি, ভাই বাজারে যেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে, হসপিটালে আছে..আপনি এখনি চলেন।” ওরে মিথ্যুক! আমি অসুস্থ না? তোদেরকে আমি মিথ্যা বলা ‍শিখিয়েছি! তন্বী তো শুনেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠল! “কি হয়েছে? বল? কি হয়েছে ওর?” “না তেমন কিছুই হয়নি..আপনি আগে চলেন।” কেমন মিথ্যুক দেখেছেন আপনারা! আমার মাথার উপর দিয়ে বাসের চাকা চলে গেছে আর বলছে কিছু হয়নি! এদিকে পুলিশ আমার লাশটা রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে আসলো। সেই চির চেনা পরিবেশ। কতবার যে কত মানুষের জন্য এসেছি। মাত্র তিন মাস আগেই মেয়েটাকে কোলে করে নিয়ে গেলাম এখান থেকে আর এখন নিজেই এসেছি লাশ হয়ে! বউ আমার বাবুকে কোলে নিয়ে ছুটে আসলো। ছোট বাচ্চাটা এখনও বুঝতেই পারেনি যে সে এতিম হয়ে গেছে। বাবা, মা, বোন, চাচা, মামা, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী বন্ধুরা অনেকেই এসেছে দেখছি। বাহ্! একসাথে এত পরিচিত মুখ দেখে ভালোই লাগছে। লিয়ানা....আমার মামনি, ওকে আর একটু কাছে আনছে না কেন? মেয়েটাকে কেমন বিসন্ন দেখাচ্ছে! ও কি টের পেয়ে গেছে যে ওর বাবা আর নাই! ও আর বাবার কোলে চড়ে ঘুরতে পারবে না! কি জানি, ছোট বাচ্চারা তো ফেরেস্তার মত, হয়তো সব বুঝতে পারছে।ওদিকে আমার বউ দেখি কাঁদছে! মহা মুষ্কিল! তন্বী, ছিঃ! এইভাবে কাঁদতে হয় না। আমি তো তোমাদের ছেড়ে যেতে চায়নি। কিন্তু আমার কি দোষ বলো? ঘাতক বাস তো আমাকে বাঁচতে দিল না। তুমি ভেঙে পড়ো না প্লিজ! আমি আর তুমি একসাথে কত বিপদ পার করেছি ভেবে দেখো....কখনো কি আমাকে হতাশ হতে দেখেছো? তুমি যদি এভাবে ভেঙে পড়ো তাহলে বাবুর কি হবে? ও তো কেবল তিন মাস। আরও অনেক দিন বাকি আছে...এখন থেকে তো আমি সবসময় তোমাদের সাথে ছায়ার মত থাকতে পারবো। প্লিজ একটু শান্ত হও! আমি আর তোমাকে বিরক্ত করবো না। সারারাত জেগে থাকবো না। এখন তো কেয়ামত পর্যন্ত ঘুমিয়েই কাটাতে হবে। তোমার হাতে খাওয়া খুব মিস করবো। তারপরও কি করবো বলো? এটা কি আমার দোষ? আমি তোমাকে হয়তো ভালোবাসা ছাড়া কোনদিনই দামি দামি শাড়ি গয়না দিতে পারিনি। কিন্তু ভালোবাসার উপরে আর কিছু হয় বলো? লিয়ানা ফাতিহা....নামটা আমার দেয়া। আমার একমাত্র সন্তান, আমার সব। মারে, পারলে ক্ষমা করো আমাকে। পিতা হিসাবে তোমার এই ক্ষুদ্র জীবনে যতটুকু সামর্থ্য ছিলো করেছি। আফসোস তোমাকে বড় দেখে যেতে পারলাম না! কত ইচ্ছা ছিলো তোমাকে মানের মত করে মানুষ করব। আমি যা পাইনি তার সব তোমাকে দিব। হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাবো, শপিং করবো, খেলবো, তোমার বিয়ে দিব.....তারাপর নাতি-নাতনির সাথে আনন্দ করে পরপারে যাব। কিন্তু হারামজাদা বাসটা তা হতে দিল নারে মা! এই বয়সে তুমি এতিম হয়ে গেলে! তোমার জীবন টা অনেক কঠিন হয়ে গেল। জীবনের প্রতি পদে আমার অভাব বুঝতে হবে তোমাকে। তাই বলে কিন্তু ভেঙে পড়লে চলবে না। অনেকেই আছে যাদের বাবা-মা দুটোই নাই। তোমার তো তাও মা আছে। তোমার এখন অনেক দায়িত্ব। বড় হয়ে মাকে দেখে ‍শুনে রাখতে হবে না? মার তো এখন তুমি ছাড়া আর কেউ থাকলো না। মাগো, একটাই দোয়া করি তোমার জন্য, সবসময় সত্যকে সত্য বলে জানিও....মিথ্যার আশ্রয় নিও না কখনো। তোমার জন্য হয়তো টাকা পয়সা, ধন সম্পত্তি কিছুই রেখে যেতে পারলাম না। কিন্তু তোমার মাকে রেখে গেলাম। মাকে কখনোই অসম্মান করো না। এই মানুষটা তোমার বাবার জন্য সব বিসর্জন দিয়েছে। অনেক কষ্ট তার মনে। বাবা...আমার বাবা। একমাত্র ছেলের লাশের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছে। কখনোই আমাদের দুই ভাইবোনের উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেননি এই মানুষটা। আমার সব অনিয়ম, অন্যায় আবদার মুখ বওজে মেনে নিয়েছেন। তারপরও অবুঝ আমি সবসময় তার সাথে উপদেশ গুলো অমান্য করেছি। বাবার ইচ্ছা ছিলো আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। আব্বু, আমার উপর অনেক রাগ করে আছো, তাই না? তমি আমার কাছে আসছো না কেন? কাছে এস আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও। তোমার সন্তানকে তো আর বেশিক্সণ কাছে পাবে না। আমাকে চলে যেতে হবে। তুমি কি বুঝতে পারছো আমার কথা? আমার মা, তার কান্না কেউ থামাতে পারছে না। প্রাইমারী স্কুলের টিচার আমার মা। ছোট থেকেই আমাদের সে রকম সময় দিতে পারেনি। কিন্তু যতক্ষণ কাছে থেকেছে বুকে আগলে রেখেছে। মাগো....কেঁদে আর লাভ নাই। আমি তো আর ফিরবো না মা। তোমাদের কাছে আমার দুইটা কলিজার টুকরা রেখে গেলাম। পারলে একটু দেকে রেখো। কতদিন তোমাকে দুঃখ দিয়েছি! পারলে ক্ষমা কর মা। মাদের মন তো অনেক বড়্ ক্সমা করবে না মা? অর্চি...আমার একমাত্র ছোট বোন। এই পাগলী, তুই এই ভাবে কান্নাকাটি করলে হবে? আর সবার মত তুই ও যদি এরকম করিস তা হলে কেমন হয় বল? তুই না কত কিছু বুঝিস। একটু থাম আপু। ঐ দেখ লিয়ানা তোর দিকে তাকিয়ে আছে। ওকে একটু কোলে কেরে আমার কাছে নিয়ে আয়.....আমি যেমন তোকে ছোট থেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি, আমার মেয়েটাকেও একটু দেখিস। তোকে কিন্তু আর্মি অফিসার হতেই হবে। আর আমি তো চলেই গেলাম...বাবা মাকে তোকেই দেখে রাখতে হবে কিন্তু। বাবা-মার মনে কখনোই কষ্ট দিবি না প্রমিস কর। আমি যে ভুল গুলো করেছি সেগুলা তুই কখনই করবি না, ঠিক আছে? বন্ধুদের মধ্যেও অনেকে এসেছে দেখছি। এই শুভ্র, কিশোর, সেলিম, বিশ্ব তোরা বোকার মত দাঁড়িয়ে কি দেখছিস? কাছে আয় গাধার দল। আমি তো পারছি না। সোহের টা আবার আহাম্মকের মত কাঁদছে কেন? ওকে কেউ থামা! আরে গাধা, এই ভাবে কাঁদলে কি আমি ফিরে আসবো! আমি আর তোদেরকে জ্বালাবো নারে। রুবেল মামা, আপনার সাথে আর গাড়িতে ঘোরাও হবে না। এই শোন, তোদের কে যদি কোন কষ্ট দিয়ে থাকি মানে রাভিস না প্লিজ। আর আমার মেয়েটার দিকে একটু খেয়াল রাখিস। বাবা, আমাকে এখানে ফেলে রেখেছো কেন? আমি বাসায় যাবো। ধুর...এই গন্ধ মেডিকেলে কেউ থাকে। আমাকে প্লিজ বাসায় নিয়ে যাও। আমি শেষ বারের মত আমার বিছানায় আরেকটু ঘুমাতে চাই। পুলিশরা বলছে আমার নাকি পোস্ট মর্টেম করবে! কি লাভ বলো বাবা? পোস্ট মর্টেম এ নাকি অনেক কষ্ট হয়। আমাকে নিয়ে চলো। আমি এখানে থাকবো না। দুপুরের পর হসপিটালের সমস্ত ফরমালিটি সেরে আমাকে নিয়ে সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। কিন্তু বাসার চারপাশে এত্ত ভিড় কেন? ওমা....এত এত পরিচিত মুখ কিন্তু আমি তো কারও সাথেই কথা বলতে পারছি না। সবাই কি মনে করবে! বাসায় দেখি আত্মী স্বজন ভর্তি। সবার চোখে পানি। কেমন লাগে বলেন আপনারা? এভাবে সবাই মিলে কাঁদলে কি হবে! কত কাজ বাকি এখনো! কে? জনি ভাই নাকি? এত দেরি হলো কেন? কাজে গেছিলেন? আপনাকেই তো খুজছিলাম এতক্ষণ। আপনার তো বিশাল দায়িত্ব। আমার কবর খুড়তে হবে না? আপনাকে তো আগেই বলে রেখেছি। আর শোনেন, আপনার ভাবির খোজ খবর নিতে ভুলবেন না কিন্তু। মেয়েটাও থাকলো। অবশ্যই সবসময় দেখে রাখবেন। স্কুলে নিয়ে যাবেন....চিপস কিনে দিবেন.....আর আমার গল্প শোনাবেন। আমার মেয়েটাকে যেন কেউ কষ্ট না দেয়। তা না হলে কিন্তু আপনার খবর আছে। ভুত হয়ে আপনার ঘাড় মটকাবো আমি! আসরের মধ্যে গোসল কমপ্লিট। সাদা কাফনে জড়িয়ে আমাকে এখন বাসার ডাইনিং এ রেখেছে। সন্ধ্যার একটু আগে আমাকে কবর দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল সবাই। ঠিক আছে, আমি চলে যাবো, কিন্তু আমার মেয়েটা কই? এই তন্বী, মেয়েটাকে আমার কাছে একটু আনো। শেষবারের মত ওকে একটু ছুঁয়ে দেখবো। কি হলো? কে আছো? আমার মেয়েটাকে আমার কাছে নিয়ে আসো! মেয়ে আমার প্রত্যেকদিন বিকালে বাইরে ঘুরতে বের হত আমার সাথে। পাউডার মাখালেই খুশি হয়ে যেত, ভাবতো বাইরে নিয়ে যাব। তিন মাস বয়সেই বাবাকে চিনে ফেলেছিলো। কত কথা বলতো আমার সাথে...এখনই মা বলতে পারে। আর কয়দিন পর বাবা বলাও শিখে যেত। পাকানি হবে একটা! কিন্তু আফসোস মেয়ের মুখে বাবা ডাক শুনতে পেলাম না! এইবার মনে হয় আমাকে কবর দেওয়ার জন্য টিকাপাড়া গোরস্থানে নিয়ে যাবে। শেষ বারের মত বাড়িটা ঘুরে দিখলাম। আর কোনদিন তো আসা হবে না! আমাদের ঘর, কম্পিউটার, আমার প্রিয় ল্যাপটপ, ছোট্ট লিয়ানার বিছানা আরও কত কি! স-ও-ব ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে! কি আর করার আছে! যায়....আর তো থাকা যাবে না। সবাই মিলে খাটিয়ায় তুলে আমাকে নিয়ে গোরস্তানের দিকে রওনা হল। পুরো পাড়ায় কান্নার রোল উঠল নতুন করে। রিয়ন আর বাবা সামনে ধরেছে। শুভ্র আর সোহেল ধরেছে পিছনে। তন্বী, লিয়ানা, অর্চি, আম্মু....কই তোমরা? আমার কাছে আসো.....শেষবারের মত আমাকে দেখে যাও। আমি তো আর থাকবো না। আমার মেয়েটাকে আমার কাছে কেউ নিয়ে আসছো না কেন? আমি তো শেষবারের মত ওকে একবার দেখতে চাই! মাগো...কই তুমি? ও লিয়ানা....লিয়ানা.....বাবার কাছে আসো একবার.....তোমার কপালে শেষ বারের মত একটা চুমু দিতে চাই। মাগরিবের আগে জানাজা শেষ হলো...অনেক দূর দূর থেকেও অনেকে এসেছে। নামায শেষে বাবা সবার কাছে আমার হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিল। বাবা অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে! মাগরিবের নামায শেষ হতেই আমাকে কবরে নিয়ে যাওয়া হলো। বাহ্....জনি ভাইতো ভালোই কবর বানিয়েছে। কবর....কেয়ামতের আগে এটাই আমার স্থায়ী ঠিকানা। অদ্ভুত ব্যাপার, তাই না? আমাদের প্রত্যেককেই কবরে যেতে হবে। কিন্তু আমি মনে হয় একটু আগেই চলে এলাম! কবরে শোয়ানোর পর সবাই তিন মুঠো করে মাটি দিল। আমি অন্ধকারে চাপা পড়ে গেলাম.....অন্ধকার....নিকষ কালো অন্ধকার! সবাই যে যার মতো চলে গেল। কিন্তু বাবা এককোণে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে এখনো...। বাবা....তুমি এভাবে দাঁড়িয়ে থেকো না তোমাকে দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে! প্লিজ চলে যাও....প্লিজ! কবর সম্পর্কে আগে অনেক ভয় ছিলো! না জানি কেমন লাগবে থাকতে। কিন্তু এখন কি ভয় পেলে চলবে। এখানে তো আর তন্বী ঘুম দিয়ে দিবে না! এটাই এখন আমার স্থায়ী ঠিকানা। অভ্যাস হযে যাবে ধীরে ধীরে....। অন্ধকারে শুয়ে শুয়ে কিছুই করার নাই। একটু পরই হয়তো বিচার শুরু হবে। কিন্তু ভাবছি কি দোষ ছিলো আমার? আল্লাহ্ কেন আমার তিন মাসের মেয়েটাকে এতিম করলো? কেন এত অল্প বয়সে আমার বউকে বিধবা হতে হলো? যে বাবা কোলে পিঠে করে বড় করেছে কেনই বা তার কাঁধে চড়ে কবরে আসতে হলো? আমি কার কাছে এর বিচার চাইবো? হতভাগী বউ আমার এতিম মেয়েটাকে নিয়ে কোথায় যাবে? কি করবে? মেয়ের দুধ কেনার টাকাই বা কোথায় পাবে? মেয়ে আমার কার কাছে বায়না ধরবে? আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কি আপনারা কেউ দিতে পারবেন? কারো কাছে উত্তর আছে? কি হলো? কেউ কথা বরছেন না কেন? আর কতদিন আপনারা চুপ করে থাকবেন? আর কত লিয়ানাকে এভাবে পিতৃহারা হতে হবে? আর কত তন্বীকে এই ভাবে অল্প বয়সে বিধবা হতে হবে? ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে মেয়েটা একন কোথায় যাবে? আর কত বাবাকে এই ভাবে ছেলের লাশ কাঁধে বইতে হবে? আর কত রুবায়েত অদক্ষ চালকের হাতে প্রাণ দিলে আপনারা বুঝবেন? প্লিজ জেগে উঠুন সবাই। আমার মত, আমার সন্তানের মত, আমার পরিবারের মত আর কারো জীবনে যেন এইরকম না হয়। সবাই সোচ্চার হন। আমরা বাঁচতে চাই...এবাবে সড়ক দুর্ঘটনায় লাশ হতে চাই না আর.................।। বি.দ্র: লেখাটি আমার নয়, ভালো লাগলো তাই শেয়ার করলাম। লেখাটি এখানে প্রকাশিত
**************************************

♥☺♫না দেখলেন তো মিস করলেন (১৮+)☺

অনেকেই ভাল রেডিও চ্যানেল শোনার সাইটের অ্যাড্রেস খুজে থাকেন তারা এইখানে খুজে পাবেন বলে আশা করছি ।

ধন্যবাদ ।

======================================================

আলোর সামনে দু’হাত নিয়ে দেয়ালে হাতের ছায়া নিয়ে তৈরি করা যায় নানান ধরনের ছবি, তাকেই বলছি আমি ছায়া চিত্র। ইংরেজীতে একে বলা হয় Shadowgraphy বা ombromanie । আজ আমরা এখানে দেখব সেই ধরনেরই কিছু ছায়া চিত্র এবং এগুলো তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গভঙ্গি।

<img width=’590′ height=” border=’10′ src=”http://4.bp.blogspot.com/_LxB5bkk8QeU/TScquxY_b_I/AAAAAAAAJEA/R1Ip6aT_3EY/s1600/handcarde.jpg

এমন হাজারো ছায়া চিত্র পাওয়া যাবে গুগল ইমেজে।
=========================+++++++++++++++++============

সুস্থ্য থাকতে কে না চায় ? সুস্থ্য থাকার জন্য নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেয়াটা একান্ত জরুরী। আর এ জন্য মাঝে মাঝেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত মেডিকেল চেক আপের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় রোগ না হলে বেশির ভাগ মানুষই ডাক্তারের কাছে যান না, নিছক অর্থ নষ্ট হবে মনে করে। আবার অনেকে আলসেমী করেও চেক আপ করান না, আর অনেকেতো সময়ই পান না ব্যস্ততার জন্য। তবে যে কারণেই চেক আপ করা বিরত থাকুন না কেন, যারা চেক আপ করাতে পারছেন না, হোক সেটা সময়ের অভাবে বা অন্য কোনো কারণে, তারা খুব সহজেই কোনো কোনো রোগের ব্যাপারে নিজের নিজের চেক আপ নিজেই করতে পারেন। এ কাজটি করা যায় আপনার নখ দেখে। কি, অবাক হচ্ছেন ? বন্ধুরা, অবাক হওয়ার কিছু নেই। মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার হাত বা পায়ের নখের আচরণ বিভিন্ন রকম আচরন করে থাকে, অর্থাৎ, বিভিন্ন রোগের প্রভাব নখেও পড়ে যা দেখে আপনি ঐ রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।

ফ্যাকাশে নখঃ কারো কারো নখের অগ্রভাগ মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাকাশে হয়ে থাকে।

এ ধরনের নখ শরীরের নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোর লক্ষনগুলো প্রকাশ করে থাকে।

* রক্তাল্পতা

* কনজাস্টিভ হার্ট ফেইল্যুর

* যকৃত বা লিভারের রোগ

* পুষ্টিহীনতা

সাদা রঙের নখঃ কোনো কোনো ক্ষেত্রে নখ সাদা রঙ ধারণ করতে পারে।

এ ধরনের নখ লিভারের সমস্যা যেমন, হেপাটাইটিস বা জন্ডিস এর ইঙ্গিত করে থাকে।

হলুদ নখঃ হলুদ নখ বিশেষ কিছু সমস্যার ইংগিত করে থাকে।

এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ছত্রাকের আক্রমন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষত্রে নখ হ্লুদ হওয়ার পাশাপাশি নখের পুরুত্ব হ্রাস পায়। তবে কদাচিত ক্ষেত্রে হলুদ নখ আরো বিশেষ সমস্যা যেমন থাইরয়েড বা ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিস বা সোরিয়াসিস এর লক্ষ হিসেবে প্রকাশ পায়।

নীল নখঃ কোনো কোনো ক্ষেত্রে নখে নীল রংয়ের ছোপ দেখা যায়।

এর মাধ্যমে বুঝতে হবে আপনার শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না। আর অক্সিজের স্বল্পতা হয়ে থাকে ফুসফুসের রোগ, নিউমোনিয়া, অথবা হার্টের কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

খাদ যুক্ত নখঃ কোনো কোনো সময় আপনার নখে খাদ দেখে থাকতে পারেন।

এটা হল সোরিয়াসিস বা জ্বালাময়ী বাতের পূর্ব লক্ষণ। এক্ষেত্রে নখের নিচের চামড়া লালচে বাদামী রঙ ধারণ করে। মাঝে মাঝে নখ বিবর্ণও হয়।

ভংগুর বা ফাটল ধরা নখঃ মাঝে নখে ফাটল ধরে বা ভংগুর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

থাইরয়েডের সমস্যার কারণের এমন হতে পারে। ফাটল ধরা, ভাঙ্গা হলুদাভ নখ ছত্রাকের আক্রম্রনের ইংগিত করে।

স্ফীত কিনারা বিশিষ্ট নখঃ কোনো কোনো নখের কিনারা মাঝে মাঝে স্ফীত ও লালচে হতে পারে।

টিস্যুগত সমস্যার জন্য এটি হয়। এক্ষেত্রে উক্ত স্থানে জ্বালাপোড়াও হতে পারে।

নখের নিচে গাঢ় রেখাঃ এ ধরনের অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক অবস্থার প্রকাশ করে থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এ ধরনের নখ মেলানোমা নামের মারাত্বক স্কিন ক্যান্সারের লক্ষন প্রকাশ করে।

চিবানো-বিধ্বস্ত নখঃ নখ কামড়ানো অনেকের একটি সাধারণ পুরোনো স্বভাব।

তবে মাঝে মাঝে এটি স্থায়ী দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে।

নখের হঠার আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেক লক্ষন প্রকাশ অনেক ক্ষেত্রে এটি আট-দশটা সাধারণ ঘটনার মত একটি ঘটনাও হতে পারে। তবে কোনো কারণে সন্দেহ হলে সেক্ষেত্রে, চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। ধন্যবাদ সবাইকে।



 



 
   
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free